শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্টে ৫০০ বা তার বেশি ফলোয়ার থাকলে এবং তিন মাসে পোস্টে ৫০ লাখ বা তার বেশি মন্তব্য থাকলে ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপনী আয়ের ভাগ দেয়ার উদ্যোগ গত জুলাইয়ে চালু করে এক্স (সাবেক টুইটার)। তার অংশ হিসেবে গত কয়েক মাসে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। খবর: ইয়াহু নিউজ।
এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিজ্ঞাপনী আয় হিসেবে প্রাথমিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলার দেয়া হয়।
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে এক্স প্ল্যাটফর্মের পোস্টে ব্যবহারকারীদের অংশ নেয়ার হার বাড়াতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আকর্ষণীয় ও অর্থপূর্ণ কনটেন্ট তৈরিতেও উৎসাহ দিচ্ছে এক্স।
ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেয়ার পর থেকে এই প্ল্যাটফর্ম ঘিরে নাটকীয় ঘটনা বেড়েছে। তিনি এক্সকে ‘সবকিছুর জন্য অ্যাপ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন।
প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে উৎসাহিত করছে। ‘বিজ্ঞাপনী আয় ভাগাভাগির’ ফলে শুধু যে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের লাভ হচ্ছে না, তা নয় বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্যও এই প্ল্যাটফর্ম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আকর্ষণীয় কনটেন্টের মাধ্যমে এখন আরও বেশি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন বিজ্ঞাপনদাতারা।
তবে এক্সের এই উদ্যোগে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্ল্যাটফর্মটিতে নিরাপদ ও ইতিবাচক পরিবেশ রাখতে সহিংসতা, অপরাধমূলক কার্যকলাপ, জুয়া, মাদক, অ্যালকোহল, যৌনতা ও প্রতারণামূলক কনটেন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৈতিক ও আইনি মান বজায় রাখতে ক্রিয়েটরদের নিজস্ব কনটেন্ট ছাড়া অন্য কনটেন্ট দিয়ে আয়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া অর্থ দিয়ে এক্স ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। বট অ্যাকাউন্ট কমাতে এ উদ্যোগ নিতে চান তিনি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এক্সে অনেক কম্পিউটার পরিচালিত ‘বট’ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা, ধর্মবিদ্বেষ বা বর্ণবিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মাস্ক বলেছিলেন, নতুন বট চালু করতে গেলে আপনাকে নতুন পেমেন্ট প্রক্রিয়া খুঁজে নিতে হবে।