নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসির ষষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুতে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর আগে ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ৩০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিলেও এবার ৩০০ কোটির পরিবর্তে ২৫০ কোটি টাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৯ জুন ডিএসইতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, এক্সিম ষষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড করবে। সাত বছর মেয়াদি এই বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে টায়ার-২ মূলধন হিসেবে ৩০০ কোটি টাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সেটি পরিবর্তন করে এবার ২৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে এক্সিম ব্যাংক। আর এই বন্ড ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটেগরির এ ব্যাংকটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৮৮১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৮০ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ৭ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ১৪ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৩ টাকা ৭ পয়সা।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৯৪ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৯ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৩৭ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২ লাখ ১ হাজার ৬৯৪ শেয়ার মোট ১৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।