বেলাল হোসাইন বিদ্যা: ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বাগেরহাটকে ‘ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট’ হিসেবে বিশ্ব ঐতিহ্যে তালিকাভুক্ত করে। পুরাকীর্তির বিশাল সম্ভার রয়েছে শহরজুড়ে। বাগেরহাট প্রসঙ্গে অনেকের মনে শুধু ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহান আলীর মাজারের কথা ফুটে ওঠে। তবে এ শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পুরাকীর্তির নানা নিদর্শন হিসেবে মসজিদ, ইমারত, রাস্তা, সমাধি, জলাশয় প্রভৃতি।
ষোলো শতকের দিকে গড়ে ওঠা এ ‘খলিফাতাবাদ’ পুরাকীর্তির এক বিশেষ নিদর্শন বাগেরহাট। এখানের সব নিদর্শনই মনোমুগ্ধকর। এ শহরে রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ‘এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ’।
মসজিদটির উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দেয়ালে প্রবেশের জন্য তিনটি করে দরজা রয়েছে। দরজাগুলো নিচের দিকে প্রশস্ত আর উপরের দিকে সরু হয়ে মিলেছে। প্রতিটি দরজার উপরে নির্দিস্ট অবস্থানে রয়েছে একই রকম নকশা, যা অনেক পুরু। পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব। মসজিদের কার্নিশ সামান্য বক্র ও বুরুজগুলো গোলাকার, যা কার্নিশের উপর পর্যন্ত বিস্তৃত। বুরুজগুলো গোলাকার আংটার মতো বসানো। বুরুজগুলোর নিচের আংটাগুলো খুব পুরু ও
চার-পাঁচটি আংটা একসঙ্গে জোড়া দেওয়া বলে মনে হয়। মসজিদটির ভেতরেও রয়েছে নানা ধরনের কারুকাজ।
ধারণা করা হয়, মসজিদটি হজরত খানজাহান আলী নির্মাণ করেছেন। এটি বর্গাকারে নির্মাণ করা হয়েছে। ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে রণবিজয়পুর গ্রামে পুরাকীর্তিটি অবস্থিত। এ পুরাকীর্তি ‘রণবিজয়পুর ফকিরবাড়ী মসজিদ’ নামেও পরিচিত।
শিক্ষার্থী
Add Comment