প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা) : ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরির অভিযোগে আট চোরকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সংস্থাটি জানায়, এক চোরের দেয়া তথ্যে অন্য চোরদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বুধবার ঢাকায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তাররা হলেনÑসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পারকুলগয়টা এলাকার বাসিন্দা মোমিনুল (৩০), ঢাকার দোহারের পুষ্পখালী এলাকার বাসিন্দা রমজান শেখ কালুু (৪০), সাভারের ঝাউচর এলাকার বাসিন্দা মো. খোকন (৪০), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর রোহাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৪৭), একই জেলার সদর থানার রতনকান্দি এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৩৬), রংপুরের কোতোয়ালি থানার মুক্তার হোসেন (৪০), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রামেশ্বরগাতি এলাকার বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম শেখ (২৬) ও নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার বাসিন্দা মো. গাজী (৩৮)।
গরু চোরদের গ্রেপ্তারের ঘটনা তুলে ধরে ডিবি জানায়, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে একাধিক চক্র ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করছিল। গত ১৬ জুন নবাবগঞ্জের বান্দুরা ইউনিয়নের কাঠালীঘাটা এলাকার মনুরদ্দিনের (৭০) বাড়ি থেকে দুইটি ষাঁড়, একটি গাভীসহ তিনটি গরু চুরি করে। ভুক্তভোগী নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে ২০ জুন সাভার ও ধামরাইয়ে অভিযান চালিয়ে মোমিনুল ও রমজান শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে মো. খোকনকে গ্রেপ্তার করা হলে তার ঝাউচরের বাড়ি থেকে চুরি করা তিনটি গরু উদ্ধার করা হয়।
এরপর রমজানের দেয়া তথ্যে শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হলে সে এক-দুই মাস আগে সাভারের ভাকুর্তার বেলওয়েথার এগ্রো ফার্ম থেকে চারটি গরু চুরির কথা জানায়। ওই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় গত ৭ এপ্রিল মামলা করেছিল ফার্ম কর্তৃপক্ষ।
গ্রেপ্তার মোমিনুল ও শফিকুল আরও গরু চোরের তথ্য দিলে একে একে গ্রেপ্তার করা হয় আরও চারজনকে। তারাও গত সাত-আট মাস আগে ধামরাইয়ের নান্নার এলাকায় রেজাউল করিম মেঘু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরির কথা স্বীকার করে এবং সেসব গরু বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়া হয়েছে বলে জানায়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।
সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন জানান, এসব গরু চুরির পর নেয়া হতো একটি নম্বরপ্লেটহীন ট্রাকে। অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে সেই ট্রাকটিও উদ্ধার করা হয়।
ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।