এক দিনে বাজার মূলধন নেই চার হাজার কোটি টাকা

হাসানুজ্জামান পিয়াস: বড় পতনে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে পুঁজিবাজার। মাঝে মধ্যে সূচকের অবস্থা কিছুটা উত্থানের দিকে গেলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। ছোট ছোট পতনের পাশাপাশি মাঝে মধ্যে বড় ধরনের পতন দেখা যাচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকালও ডিএসইর প্রধান সূচকের বড় ধরনের পতনের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যহারে কমে যায় বাজার মূলধন।

দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের ইউনিটের বাজার মূলধন কমে গেছে চার হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগের কার্যদিবসেও ৮০০ কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন কমে যায়। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা, আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা।

এদিকে গতকালের বাজারচিত্রে দেখা যায়, লেনদেনের শুরু থেকেই সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এতে শঙ্কিত হয়ে কম দরে শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যায়, যে কারণে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের পতন অব্যাহত থাকে।

অন্যদিকে গতকাল বড় পতনে এদিনে সূচক হ্রাস পেয়েছে ৬৪ পয়েন্ট, যা মূল সূচকের প্রায় এক শতাংশ। এর আগের কার্যদিবসেও সূচকের পতন ঘটে ২৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই দিনে সূচকের পতন হয় ৮৭ পয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে দিন যত যাচ্ছে ততই বাজার নিয়ে অনাস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।

গতকাল ডিএসইতে মোট ৫৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর এক কোটি ৯৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৮টি শেয়ার ৪৯ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৮৭ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০