এক দিনে বাজার মূলধন বেড়েছে ২৮০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে এক মাসের বেশি সময় পর হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

গত বুধবার পুঁজিবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মেলে। ডিএসইর মূল্যসূচক বাড়ে ১৩ পয়েন্ট। পাশাপাশি বাড়ে বাজার মূলধনের পরিমাণ। এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। শুরুতে দেখা দেয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। লেনদেন শেষে ডিএসই সুচকে যোগ হয় ৫১ পয়েন্ট।

গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকায়। এর আগের কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে গতকাল এক দিনে বাজার মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।

এর আগের নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের দিন ও পরের তিন কার্যদিবসসহ টানা চার কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। এতে প্রধান পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক কমে ১২৩ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন কমে ছয় হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। তবে মাঝে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও লেনদেনের শেষ দিকে এসে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। এতে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির ও ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৪২৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৩২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক বাড়ার পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ১৬ মে’র পর ডিএসইতে আবার হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হলো। আর ১১ মে’র পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেনের ঘটনা ঘটল।

লেনদেন বাড়ার দিনে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকের ৫২ কোটি ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরএকে সিরামিকস।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑআইপিডিসি ফাইন্যান্স, মুন্নু ফেব্রিকস, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, সাইফ পাওয়ারটেক, ইউনিক হোটেল, ওরিয়ন ফার্মা ও এইচআর টেক্সটাইল। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ৩৩ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির ও ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০