নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিনই ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার ৯৬ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করেছে সংস্থাটি। গতকাল দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। প্রতি ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা।
ডলারের বাজারে প্রতিদিন নতুন নতুন খবর। দামের ওঠা-নামা, চাহিদা বৃদ্ধি, ডলার সংকট ও এলসি পেমেন্ট বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকে গতকাল নগদ ডলার পাঁচ টাকা বেড়ে ১০৬ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এর আগে গত রোববার খোলাবাজারে দর আড়াই টাকা বেড়ে ১০৫ টাকায় ওঠে। এ বাজারে প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে আসে। গত ১৭ আগস্ট ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে।
আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণেই মূলত দেশে ডলারের এই সংকট দেখা দিয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের সংকট মেটাতে পারছে না। ফলে প্রতিনিয়ত বেড়েছে ডলারের দাম। এজন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিনিয়ত দামও বাড়িয়েছে। এর পরও কিছুতেই বাগে আসছে না ডলারের তেজি ভাব।
মঙ্গলবার সব রেকর্ড ভেঙে খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১১২ টাকায়। তবে গতকাল (বুধবার) কিছুটা কমে ১০৮ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়েছে বলে জানা গেছে। খোলাবাজারে গত কয়েক দিনে বেশ বড় অঙ্কের ডলার কেনার চাহিদা আসছে, যা মানুষের ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণের স্বাভাবিক চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছেÑএত ডলার যাচ্ছে কোথায়, ডলার কি পাচার হচ্ছে? পাচারের বিষয়ে সাম্প্রতিক কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া না গেলেও বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কিছু মানুষ ডলার কিনছেন বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।