Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:06 pm

এক দিন বিরতির পর আবারও চাঙা বিমা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে ঘুরেফিরে বিমা খাতের শেয়ারেই থাকছেন বিনিয়োগকারীরা, যে কারণে সম্প্রতি আবারও বাড়তে শুরু করেছে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। মাঝে এক দিন খাতটির অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও গতকাল আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে খাতটি। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি মোট লেনদেনেও এগিয়ে ছিল বিমা খাত।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের শুরু থেকেই আগ্রহের শীর্ষে ছিল এ খাতের কোম্পানি, যার ফলে বাড়তে থাকে দর। দিন শেষে তালিকাভুক্ত ৪৯ কোম্পানির মধ্যে দর বাড়তে দেখা যায় ৪০টির। মোট লেনদেনেও এগিয়ে থাকে খাতটি। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২৯ শতাংশ।

মোট লেনদেনে পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমলেও লেনদেনে বেশ এগিয়ে ছিল খাতটি। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। এছাড়া লেনদেনে এককভাবে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয় বিবিধ এবং প্রকৌশল খাত।

এদিকে গতকাল দিনের শুরুতে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও দিনের শেষে তা নি¤œমুখী হতে দেখা যায়। লেনদেন শেষে ১৬ পয়েন্ট কমে সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৯৮ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে গতকাল লেনদেনও কিছুটা কমে যায়। গতকাল এখানে মোট ৯৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।

অন্যদিকে গতকাল বøক মার্কেটে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার। এ মার্কেটে অংশগ্রহণ করে মোট ৩৭টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর এক কোটি ২৯ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৮টি শেয়ার ৫৯ বার হাত বদল হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাত কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ৮৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের। একইভাবে ড্রাগন সোয়েটারের দুই কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

এছাড়া আমান কটনের ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, একমি ল্যাবরেটরিজের ৩৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ৩৫ লাখ ২৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ২৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ২৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, অগ্নি সিস্টেমসের ৯ লাখ তিন হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকার এবং ডিবিএইচের ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।