এক বছরের মশার ওষুধ মজুত আছে:এলজিআরডিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে এক বছরের মশা মারার ওষুধ মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের তিক্ত যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। কয়েকদিন আগে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছি এবং পর্যালোচনা করে দেখার চেষ্টা করেছি। তাদের কাছে মশা মারার ওষুধ মজুত কী পরিমাণে রয়েছেÑতা জানার চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘যে ওষুধগুলো আনা হয়েছে এবং মজুত রয়েছে, সেগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে তারা নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, ওষুধ সম্পর্কে কোথাও কোনো প্রশ্ন উঠার কথা নয়। একটি সীমাবদ্ধতার কথা না বললেই নয়, পরিবেশের যেসব ওষুধ স্প্রে করা হয়, তা থেকে কিছু কিছু প্রাণী যেমন মশা মারা যাবে। কিন্তু অন্য কোনো প্রাণী যেমন মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য ডব্লিউএইচও’র (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা) সার্টিফাইড প্রডাক্টের বাইরে আমরা যেতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের ওষুধ উভয় সিটি করপোরেশনের কাছে মজুত আছে। এ সব ওষুধ স্প্রে করতে যে পরিমাণ যন্ত্রপাতি দরকার সে পরিমাণ আছে বলে আমাকে অবহতি করা হয়েছে।’

প্রতি ওয়ার্ডে ৩০ জন করে লোকবলের অনুমোদন মন্ত্রণালয় দিয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য স্বস্তিকর নাগরিক জীবনের যেসব প্রয়োজনীয়তা সেগুলো পূরণে আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। সে কাজ করতে গিয়ে পুরো সফলতা অর্জন করিনি, পিছিয়ে আছি তাও নয়।’ দক্ষিণের মেয়র দায়িত্ব নেবেন আগামী মে মাসে। তাহলে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করতে বিলম্ব হবে কি নাÑজানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যিনি আছেন সঙ্গত কারণেই তিনি দায়িত্ব পালন করবেন এবং সেখানে একটি ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, অনেক কর্মকর্তা রয়েছে। সেই কর্মকর্তা কাজ করবেন এবং আমরা আশা করি যে বর্তমান মেয়র দায়িত্ব পালন করবেন এবং মন্ত্রণালয় ফলোআপ করবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০