সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি পণ্যের বিক্রি করেছে ৬৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন; যা আগের অর্থবছরের হয়েছিল ৭৩ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে জ্বালানি তেল বিক্রি কমেছে ছয় লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন; যা শতাংশ হিসাবে আট দশমিক ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে ডিজেলের বিক্রি কমেছে ছয় লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। অপরদিকে জেট ফুয়েল আগের বছরের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৭৪ হাজার মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা যায়, দেশের কৃষি উৎপাদন, শিল্প প্রক্রিয়া, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, গৃহস্থালি ও অন্যান্য কাজে জ্বালানি চাহিদা জোগান নিশ্চিত করে বিপিসি। সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি পণ্যের বিক্রি করেছে ৬৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন; যা আগের অর্থবছরে হয়েছিল ৭৩ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে জ্বালানি তেল বিক্রি কমেছে ছয় লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন; যা শতাংশ হিসাবে আট দশমিক ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে প্রধানতম ব্যবহূত জ্বালানি ডিজেলের বিক্রি কমেছে ছয় লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। অপরদিকে জেট ফুয়েল আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৭৪ হাজার মেট্রিক টন। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের বিপিসি মোট ৬৮ লাখ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করে।
এর মধ্যে শুধু ডিজেল বিক্রি করে প্রায় ৪৯ লাখ টন; যা দেশের ইতিহাসে একক বছর হিসেবে ডিজেলের সর্বোচ্চ বিক্রীত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি পণ্যের বিক্রয় করেছে ৬৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ডিজেল বিক্রি হয়েছিল ৪২ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন; যা আগের বছর বিক্রি হয়েছিল ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ডিজেলের বিক্রি কমেছে ছয় লাখ ৯০ হাজার ৯৫৬ মেট্রিক টন। এছাড়া গত অর্থবছরের ফার্নেস অয়েল ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২, পেট্রোল ৪ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২, অকটেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৬, জেট ফুয়েল ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৩, কেরোসিন ৬৯ হাজার ৮৭৪, বিটুমিন ৪৭ হাজার ৬৫৯, লুব অয়েল ১৫ হাজার ৮৯১, মেরিন ফুয়েল ২৭ হাজার ৫৬১, এলপিজি ১১ হাজার ৫৮৯, জেবিও ১০ হাজার ২৬, গ্রিজ ১২৪, এসবিপি ৪ হাজার ৬৮৪, এমটিটি ৩ হাজার ৪৭৯ এবং এলওডি ৪১১ টন বিক্রি হয়েছে।
অপরদিকে কোম্পানিভিত্তিক বিক্রি তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ পদ্মা অয়েল কোম্পানি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩৯ টন বা ৩৮ দশমিক। আর মেঘনা পেট্রোলিয়াম জ্বালানি বিক্রি করেছে ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৭০ টন বা ৩৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং যমুনা অয়েল কোম্পানি ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯৭ টন বা ২৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ জ্বালানি বিক্রি করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (বিপণন) কবীর মাহমুদের ব্যবহƒত নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সংযোগটি রিসিভ করেননি। ফলে উনার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি। আমি আমার সঙ্গে ৩০ মিনিট পর যোগাযোগ করিয়েন। এর আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সংযোগটি রিসিভ করেননি। ফলে উনার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
