নিজস্ব প্রতিবেদক: আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় ফেরা কভিড-১৯ চিন্তা বাড়াচ্ছে। মহামারি কভিডে দেশে গত এক দিনে আরও দুই হাজার ৩২২ জনের মধ্যে কভিড-১৯ ধরা পড়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৪ জনের।
শনাক্ত রোগীর এ সংখ্যা গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি দুই হাজার ৩৪১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক দিনে মৃত্যুর ওই সংখ্যাও গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষে গত ৯ মে দেশে এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল; সেদিন কভিডে ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে আট লাখ ১৫ হাজার ২৮২ জন হয়েছে। আর মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৯১৩ জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে এক দিনে আরও দুই হাজার ৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৫৫ হাজার ৩০২ জন।
বাংলাদেশে কভিডের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ। তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড সাত হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫১০টি ল্যাবে ১৯ হাজার ১৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ২০৭টি নমুনা।
গতকাল নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৭ জন পুরুষ আর নারী ১৭ জন। তাদের ৩৭ জন সরকারি হাসপাতালে, তিনজন বেসরকারি হাসপাতালে ও চারজন বাড়িতে মারা যান।
তাদের ২৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, চারজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর ও একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের, সাতজন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১১ জন রাজশাহী বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের, পাঁচজন রংপুর বিভাগের ও দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৯১৩ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৩০২ জন পুরুষ, তিন হাজার ৬১১ জন নারী।
