এক মাসের মধ্যে সূচক সর্বনিম্ন

রুবাইয়াত রিক্তা : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সংশোধন হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকালও বড় ধরনের সংশোধন হয়। সর্বশেষ ছয় কার্যদিবসে দুদিন সূচক সামান্য বেড়েছে। কমেছে চার কার্যদিবস। আর এ চার কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১৯৩ পয়েন্ট। গত এক মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ অবস্থানে নেমে গেছে সূচকের অবস্থান। এ সময়ে লেনদেন এক হাজার ৫৪ কোটির ঘর থেকে নেমে এসেছে ৬২০ কোটি টাকার ঘরে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা অতিক্রম করায় সাত ব্যাংককে জরিমানা এবং বাকি ব্যাংকগুলোকে নজরদারিতে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো বাধ্য হচ্ছে শেয়ার বিক্রি করতে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। যার কারণে সূচক ও লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে প্রতিদিনই দেখতে পারে কোন ব্যাংক কত টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে। আর সীমা অতিক্রম করলে সঙ্গে সঙ্গেই সেই ব্যাংককে সতর্ক করতে পারে। তাহলে বাজারে ঢালাওভাবে শেয়ার বিক্রির চাপ আসবে না। ফলে বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কিত হয়ে সব খাতের শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যাবে না। এতে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল অবস্থানে পৌঁছানো সহজ হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১২৩ কোটি টাকা। সূচক কমেছে ৫৫ পয়েন্ট। প্রায় ৭৬ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। সব খাতেই ছিল নেতিবাচক প্রবণতা। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ৪২ শতাংশ। আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল এ খাতে লেনদেন কমেছে ৩২ কোটি টাকা। গত কয়েক দিন আগের তুলনায় ব্যাংক খাতের লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ খাতের ৭৩ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। তবে এ খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর চার দশমিক ৭২ শতাংশ ও ট্রাস্ট ব্যাংকের দর চার দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে টপ টেন গেইনার তালিকায় চলে আসে। ব্যাংক খাতের কারণে অন্যান্য খাতের লেনদেনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গতকাল ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতে মোট লেনদেনের ১০ শতাংশ করে লেনদেন হয়। ওষুধ খাতের ৬০ শতাংশ ও প্রকৌশল খাতে ৭৩ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। তবে প্রকৌশল খাতের ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ও বিডি অটোকার এবং ওষুধ খাতের ওয়াটা কেমিক্যাল দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে। আর্থিক খাতের ১০০ শতাংশ কোম্পানিই দরপতনে ছিল। এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ৯ শতাংশ বা ৫২ কোটি টাকা। লেনদেনের নেতৃত্বে থাকা ইফাদ অটোসের ৩৩ কোটি, উত্তরা ব্যাংকের ২৮ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংকের ২৭ কোটি, ব্র্যাক ব্যাংকের ২৩ কোটি, শাহ্জালাল ব্যাংক ১৯ কোটি, স্কয়ার ফার্মা ১৮ কোটি, লংকাবাংলা সাড়ে ১৭ কোটি, আমরা নেট ১৭ কোটি, এনবিএল ১৪ কোটি ও এসিআই’র ১২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে শীর্ষ অবস্থানে ছিল ‘জেড’ ক্যাটাগরির ইমাম বাটন। এছাড়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির জিলবাংলা ও সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের দর প্রায় চার শতাংশ করে বেড়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০