Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:28 pm

এক মাসে প্রকৌশল খাতে লেনদেন কমেছে ১৩%

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিঙ্গার বিডি লিমিটেডের শেয়ার জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহর শেষ দিকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ৮০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। গত শেষ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার ১৮৭ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ আড়াই মাসে কোম্পানির শেয়ারদর হারিয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।

গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (বিএসআরএম) শেয়ার ১৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। গত শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার ১২৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। দুই মাসে কোম্পানির শেয়ার ২২ টাকা ৫০ পয়সা কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে প্রকৌশল খাতটির মোট লেনদেনে।

এটলাস বাংলাদেশের শেয়ার গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৪৫ টাকা ১০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। সর্বশেষ গত কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার ১২৬ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে কোম্পানির শেয়ারদর ১৮ টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বনি¤œ ১০৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫৩ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।

এদিকে ইফাদ অটোস সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সর্বোচ্চ ১৬১ টাকা ১০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার ১৪৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার ১৬ টাকা ৫০ পয়সা দর হারিয়েছে। রাইট ইস্যুর অনুমোদন পেলেও শেয়ারদর হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ার সর্বনি¤œ ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে।

শুধু সিঙ্গার বিডি, বিএসআরএম, এটলাস বাংলাদেশ বা ইফাদ অটোস নয়, তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাংক খাত পুঁজিবাজারের গতি ধরে রাখলেও অন্যান্য খাতের গতি অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। এর মধ্যে প্রকৌশল খাতের লেনদেন গত এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৩ শতাংশ।

এদিকে গত শেষ কার্যদিবসে বাজারে মোট লেনদেনের মধ্যে ১০ শতাংশ ছিল প্রকৌশল খাতের। আলোচিত সময়ে খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি টাকা। আগস্টের শেষ সপ্তাহে মোট লেনদেনের ২৩ শতাংশ ছিল প্রকৌশল খাতের। ওই সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ১৮৪ কোটি টাকা।

লেনদেনের সঙ্গে খাতটির পিই রেশিও কমে আসছে। গত মাসে খাতটির পিই রেশিও ছিল ২৮ দশমিক ৫ পয়েন্টে। গেল সপ্তাহে পিই রেশিও কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকৌশল খাতের লভ্যাংশের মৌসুম চলছে। কিন্তু এ খাতের লেনদেন দিন দিন অনেকটা কমছে। তবে খাতটির দু-একটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করলে আবার এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার প্রভাব পড়বে লেনদেনেও।

এ সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংকের শেয়ারদর বাজারে বেশ কিছুদিন বেড়ে চলছে। কিন্তু কী কারণে এসব শেয়ারের দর বাড়ছে, তা বলা যাচ্ছে না। বর্তমান সময়ে জুন ক্লোজিং কোম্পানির দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব কোম্পানিতেও আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। ভালো ডিক্লারেশন পেলে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাজারে প্রকৌশল খাতের ৩৪টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত রয়েছে।