এক সপ্তাহেই লাখ ছাড়াল কভিড শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীসহ সারাদেশে কভিডে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়া রোগী, নমুনা পরীক্ষা, মৃত্যু এবং সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের (১৭-২৩ জানুয়ারি) তুলনায় চতুর্থ এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের (২৪-৩০ জানুয়ারি) পরিসংখ্যানে এ পরিবর্তন দেখা গেছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চতুর্থ এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে কভিডের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৪৪টি, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৩.৯ শতাংশ বেশি।

এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ১৯৬ জনের। শনাক্তের সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৮.৬ শতাংশ বেশি। কভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের এবং করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ৭৮৪ জন। মৃত্যু ও সেরে ওঠার সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় যথাক্রমে ৭৭.২ ও ১২১.৪ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কভিডে আক্রান্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৯৪ জনে।

একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০১ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জনে।

গত এক সপ্তাহে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশই সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার একটি ডোজও গ্রহণ করেননি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ে মারা যাওয়া ১৪০ জনের মধ্যে মাত্র ৩১ জন (২২ দশমিক ১ শতাংশ) টিকা নিয়েছিলেন। এ ৩১ জনের মধ্যে ছয়জন প্রথম ডোজ, ২৩ জন দ্বিতীয় ডোজ, দুজন বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। আর অবশিষ্ট ১০৯ জনই (৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ) করোনার টিকার কোনো ডোজই গ্রহণ করেননি।

আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও কিডনি রোগসহ কোনো না কোনো ধরনের দুরারোগ্য অসংক্রামক ব্যাধিতে (কোমরবিড) আক্রান্ত ৮৬ জন। শতকরা হার ৬১.৪ শতাংশ।

এই সময়ে মারা যাওয়া ৮৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ছিল উচ্চ রক্তচাপে; ৬৫ দশমিক ১ শতাংশ। এরপর রয়েছে ডায়াবেটিস; এতে আক্রান্ত ছিল ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিল ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ, হƒদরোগে আক্রান্ত ছিল ২০ দশমিক ৯ শতাংশ।

এ ছাড়া বক্ষব্যাধি ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ক্যানসারে আক্রান্ত ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, স্ট্রোক ২ দশমিক ৩ শতাংশ, বাতজ্বর ২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং গ্যাস্ট্রোলিভারজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ।

মারা যাওয়াদের কেউ কেউ দুই বা ততোধিক রোগে আক্রান্ত ছিল। তবে গত সপ্তাহে থাইরয়েডজনিত এবং মানসিক সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০