নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সাত কর্মদিবস দেশের পুঁজিবাজার টানা উত্থানের পর গতকাল প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসইসি) সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ওই সাত কর্মদিবসে প্রধান পুঁজিবাজারের সূচক বেড়েছিল প্রায় ৩০৯ পয়েন্ট। যারা এই সময়ে বা এর আগে কিনেছেন, তাদের বেশিরভাগ এখন মুনাফায় রয়েছেন। বাজারে চাঙা ভাব দেখা দেয়ায় তারা তাদের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলছেন, যে কারণে দিনভর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকার পরও শেষ সময় এসে বিক্রয় চাপে বাজার পতনমুখী হয়।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সপ্তাহে আগে যারা ব্যাংক বাদে অন্যান্য খাতের শেয়ার কিনেছেন, তারা এখন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মুনাফায় রয়েছেন। তারা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলছেন বলে বিক্রয় চাপে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার বাজার পতন ঘটে। ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট। চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারও সূচক ছিল বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ওইদিন সূচক বেড়েছিল প্রায় ৪৬ পয়েন্ট। এতে দেখা যায়, গত সাত দিনের প্রতিদিনই সূচক কম-বেশি বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাত দিনের ব্যবধানে অনেক কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ। ১২ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ কোম্পানির। যারা কম দরে শেয়ার কিনেছিলেন, তারা এখন ভালো মুনাফায় রয়েছেন। ফলে তারা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলছেন। কম দরে পরে আবার শেয়ার কিনবেন, এমন আশায় হাতে থাকা শেয়ার তারা ছেড়ে দিচ্ছেন, যে কারণে বাজার কিছুটা সংশোধন ধারায় মোড় নিয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৮৯ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৯ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪১৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩৬১ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে।
টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৭৪ কোটি সাত লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৯৫০ কোটি ১০ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির বা ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে। দর কমেছে ২০৯টির বা ৫৫ দশমিক ১৫ শতাংশের এবং ৪০টির বা ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে। সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৫৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর। সিএসইতে ২০ কোটি ৫৪ লাখ ৯ হাজার ৪২৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।