ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ আয়োজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সংস্থাটি এ সিরিজ আয়োজন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু এতে দেশটির বোর্ডের ক্ষতি হয়েছে দুই দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৯ কোটি টাকারও বেশি। মূলত বোর্ডের মিডিয়া স্বত্ব নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দরকষাকষিতে নির্দিষ্ট আয় থেকে এ পরিমাণ অর্থ গচ্চা দিতে হয়েছে পিসিবিকে।
২০১৫ সালে পিসিবি ও ভারতীয় একটি সংস্থার মধ্যে মিডিয়া স্বত্বে চুক্তি হয়েছিল। তা অনুযায়ী শ্রীলঙ্কা সিরিজ সম্প্রচার করেই ভারতীয় ওই সংস্থার দায়িত্ব শেষ। কিন্তু পিসিবি দাবি করেছে, আগের চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত পাকিস্তানের সব খেলা দেখানোর দায়িত্ব তাদের। যে কারণে ২০১৯ সালে সমস্যার শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানের খেলা দেখানোর সুবাদে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট আয় পেত পিসিবি। জুন পর্যন্ত চুক্তি থাকলে সে অনুযায়ী আরও ছয় মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি, দুটি টেস্ট ও এক ওয়ানডে প্রচারের স্বত্ব ওই প্রতিষ্ঠানেরÑএটা দাবি করে পিসিবি সে অঙ্কটাই চেয়েছিল তাদের কাছে। তিনটি ভিন্ন সফরের হওয়া এ সিরিজের জন্য এত অর্থ দিতে রাজি হয়নি সে প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের দাবি, সিরিজ আয়োজনের জন্য মাত্র সাত দিন সময় পাওয়া গেছে। ফলে সিরিজের প্রচার ঠিকভাবে করা যায়নি এবং এর ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে তিন দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছে তারা। যে কারণে পাক বোর্ডের ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি টাকা।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
