অপেক্ষায় শেয়ারধারীরা

এখনও অভিহিত দরের নিচে ৪৭ শেয়ার ও ইউনিট

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকদিন পতন ছাড়া এ সময়ের মধ্যে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়নি। বাজার ইতিবাচক ধারায় থাকায় এ সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। ফলে যেসব বিনিয়োগকারী বছরের পর বছর লগ্নি করা পুঁজি ফেরত নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তারা আশার আলো দেখছেন। কিন্তু এখন তালিকাভুক্ত ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর শেয়ার ও ইউনিটদর অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এখনও অভিহিত দরের নিচে রয়েছে ব্যাংক খাতের দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছেÑআইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও এনবিএল। একইভাবে এখনও অভিহিত দরের নিচে রয়েছে আর্থিক খাতের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এগুলো হচ্ছেÑবিআইএফসি, ফারইস্ট ফিন্যান্স, ফাস ফিন্যান্স, ফার্স্ট ফিন্যান্স এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। এ তালিকায় রয়েছে প্রকৌশল খাতের অ্যাপোলো ইস্পাত। ওষুধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিক ও কেয়া কসমেটিকস এ তালিকায় রয়েছে।

এদিকে এখনও বস্ত্র খাতের আট কোম্পানির শেয়ারদর এখনও অভিহিত দরে ফিরতে পারেনি। এগুলো হচ্ছেÑজাহিন টেক্সটাইল, জাহিন স্পিনিং, তুংহাই নিটিং, আরএন স্পিনিং, নূরানী ডায়িং, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল এবং ফ্যামিলি টেক্স। একইভাবে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের বিডি সার্ভিসের শেয়ারদর অভিহিত দরের নিচে রয়েছে। এছাড়া এখনও ২৭টি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর এখনও অভিহিত দরের নিচে অবস্থা করছে।

এর আগে দর পতনের জের ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর সস্তা হতে শুরু করে। ফলে তালিকাভুক্ত ২৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর অভিহিত দরের নিচে চলে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি।

এ খাতের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অভিহিত দরের নিচে অবস্থান করে। এগুলো হচ্ছে জাহিন টেক্সটাইল, জাহিন স্পিনিং, তুংহাই নিটিং, অলটেক্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সিএনএ টেক্সটাইল, ঢাকা ডায়িং, ডেল্টা স্পিনিং, জেনারেশন নেক্সট টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিল, আর এন স্পিনিং এবং তাল্লু স্পিনিং। পরবর্তীতে বাজার ঘুরে দাঁড়ালে সাতটি কোম্পানির শেয়ারদর অভিহিত দরে ফিরে আসে।

অভিহিত দরের নিচে নেমে যায় ব্যাংকের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। এগুলো হচ্ছেÑএবি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, এনবিএল এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

একইভাবে প্রকৌশল খাতের অলিম্পিক এক্সেসরিজ, গোল্ডেন সন এবং ইয়াকিন পলিমারের শেয়ারদর অভিহিত দরের নিচে ছিল। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাতটি, খাদ্য খাতের একটি, বিবিধ খাতের একটি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের চারটি এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের দুই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অভিহিত দরের নিচে নেমে যায়। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বর্তমানে অভিহিত দরের নিচে নামে ৩২টি ফান্ডের ইউনিট দর।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এখনও যেসব কোম্পানির শেয়ারদর অভিহিত দরের নিচে রয়েছে তার বেশিরভাগেরই আর্থিক অবস্থা এখনও ভালো নয়। যে কারণে এসব শেয়ার অভিহিত দরে ফিরতে সময় নিচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে এসব শেয়ারদরও বেশ বেড়েছে।

একই প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকলে শেয়ারদর বাড়ে আবার আগ্রহ না থাকলে দর কমে যায়। এটা স্বাভাবিক নিয়ম। বিনিয়োগের বেলায় শেয়ারদর যা-ই হোক না কেন, আর্থিক অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০