মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সামান্য বিরতি দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। কয়েকদিন পর গতকাল এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সন্তোষজনক আগ্রহ দেখা গেছে। তবে আগের দিনের মতো গতকালও চালকের আসনে ছিল বিমা খাতের কোম্পানি। সারাদিনই এ খাতের কোম্পানিতে চোখ ছিল বিনিয়োগকারীদের। ফলে দিন শেষে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মোট ১১৩ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিটের দর বাড়ে। এর মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানই ছিল বিমা খাতের। বলতে গেলে দিনজুড়ে এ খাতের কোম্পানির একক আধিপত্য লক্ষ করা যায়। বিনিয়োগকারীরা আস্থা ধরে রাখেন এ খাতে।
গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এ খাতের কোম্পানির শেয়ার। ফলে দ্রুত এ খাতের শেয়ারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। ফলে দ্রুতই দর বাড়ে এসব শেয়ারের। যে কারণে দিন শেষে এ খাতের ৪৭ কোম্পানির মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। মোট লেনদেনেও এগিয়ে থাকে এ খাত।
খাতভিত্তিক লেনদেন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় গতকাল মোট লেনদেনে প্রায় ২৭ শতাংশই ছিল বিমা খাতের। পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। গতকাল সকাল থেকে এ খাতের শেয়ারেও বিনিযোগকারীদের আগ্রহ দেখা যায়। যার ফলশ্রুতিতে দিন শেষে এ খাতের মোট ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২১ শতাংশের কিছু বেশি। এছাড়া গতকাল প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা আগ্রহ দেখা যায়। সে তুলনায় ব্যাংক খাত কিছুটা বিবর্ণ ছিল। তবে লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাতের পরই ছিল ব্যাংকের অবস্থান। লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৭ শতাংশের কিছু বেশি।
অন্যদিকে কয়েকদিন পর গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। দিন শেষে প্রধান সূচক বাড়তে দেখা যায় ১৯ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৭০ পয়েন্টে। এদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটে তুলনামূলকভাবে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে। গতকাল ডিএসইতে মোট ২৪০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয় যার মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৫৪ কোটি টাকা।
