নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এখনও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা আসে। গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সারাবিশ্বে অফিসিয়াল চ্যানেলে টাকা আনয়ন প্রাধান্য পায়, আমরাও সেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবসময় তাদের উৎসাহিত করতে বলেন। এই টাকা তাদের টাকা। পরবর্তীকালে তারা যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে, তারা টাকা পেল কোথায়।’
হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে কিনাÑজানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও হুন্ডি তো আছেই। আমাদের কাছেও তথ্য আছে এখনও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা-পয়সা আসে। যাতে করে কম আসে, সেটি নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সুফলটা বলছি। প্রধানমন্ত্রীও সেটি করেছেন। রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি খাত। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পর রেমিট্যান্সের কারণে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ।’
প্রবাসীদের প্রতি হুন্ডিতে না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক, সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন, সেটিকে অবৈধ বলব না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সবসময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। তাদের আস্তে আস্তে অনেক টাকা হয়ে গেলে সেটি কিন্তু রেকর্ড করতে পারছেন না। কারণ হুন্ডির টাকা রেকর্ড করা যায় না। কখনও ইনকাম ট্যাক্স বা রেগুলেটরি অথরিটি এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারবেন না।’
কী পরিমাণ টাকা হুন্ডিতে আসে, সেটির কোনো পরিসংখ্যান আছে কিনাÑজানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার এই মুহূর্তে কোনো ধারণা নেই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রায় কাছাকাছি অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সে জন্য আমি মনে করি, সেই ধারাবাহিকতা এখনও আছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি কেন আসবে না। অফিসিয়াল চ্যানেলে আনলে তো লস হচ্ছে না। তাদের জন্য কেবল প্রণোদনা নয়, তাদের স্বীকৃতিও দেয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যৎ প্রজš§ও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধ থাকবে না।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ তো এ ধরনের কোনো প্রশ্ন আমাদের কাছে উপস্থাপন করেনি। আপনারাই পত্রিকায় লিখছেন। এটা নিয়ে আমি জবাব দেব না। এটা কেন আপনারা বলছেন আমি জানি না, কেন বলছেন তাও জানি না। সাংবাদিক হলেও দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব আছে।’