শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপানের নিম্নকক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হলেও বুথজরিপে এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার দলই। খবর: রয়টার্স, নিক্কেই এশিয়া।
নির্বাচন শেষে নিক্কেই এশিয়ার বুথজরিপে বলা হয়, নিম্নকক্ষের (লোয়ার হাউস) ৪৬৫টি আসনের বেশিরভাগই এলডিপির দখলে। তবে নির্বাচনের আগে তরুণ ভোটাররা বিকল্প কাউকে বেঁচে নেবেন বলে মনে করা হয়েছিল। যদিও বিরোধী দলগুলোর আসন সংখ্যা বাড়লেও ক্ষমতা গ্রহণের ধারের কাছেও যেতে পারছে না তারা। ফলে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে ফুমিও কিশিদার রক্ষণশীল সরকার জনগণের অনুমোদন পাচ্ছেন বলে ধারণা করা হয়।
এর আগে অক্টোবরের প্রথমদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের পর পরই এ নির্বাচনের ডাক দেন কিশিদা। এ ভোট তার জন্য ও ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) জন্য ছিল একটি অগ্নি পরীক্ষা। কভিড মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য দলটির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।
কিশিদা জনগণের দরিদ্র অংশকে সাহায্য করার নীতি নিয়ে এগোতে হিমশিম খেলেও ইতোমধ্যে বড় ধরনের সামরিক ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেলেছেন, চীনের বিষয়েও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
এর আগে জনমত জরিপে বলা হয়েছিল, নিষ্প্রভ ভাবমূর্তি নিয়ে এলডিপি ভোটারদের উজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ২০০৯ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর প্রান্তে আছে দলটি। তবে এরপরও জোট সঙ্গী কোমেইতোকে নিয়ে দলটি নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
বৃহত্তম বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপানের আসন বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কিন্তু কিশিদার জোটকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কাছেও যেতে পারবে না তারা।
