Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:39 pm

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ৭৪% আমানত গ্রামের গ্রাহকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শাখা না খুলে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এতে সাড়াও দিচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। ঘরের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পেয়ে আমানত ও ঋণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর শেষে এজেন্টের মাধ্যমে ১৩ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংক। এর মধ্যে ১০ হাজার ২০৩ কোটি ১০ লাখ টাকাই জমা করেছেন গ্রামের সাধারণ জনগণ। বাকি টাকা শহরের আমানতকারীদের জমা।

এজেন্ট ব্যাংকিং হলো শাখা না খুলে ব্যাংকের তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার একটি ব্যবস্থা। বর্তমানে এজেন্ট আউটলেটের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি গ্রাহক ও লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। বর্তমানে ২৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১০ হাজার ৪৭১টি মাস্টার এজেন্টের আওতায় ১৪ হাজার ৪১৪টি আউটলেটের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৭১ গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত গ্রাহক ছিল ৭৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৯০ জন এবং আমানত স্থিতি ছিল ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ চার মাসে গ্রাহক বেড়েছে ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৮১ জন এবং আমানত স্থিতি বেড়েছে প্রায় তিন হাজার ৬২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এজেন্ট ব্যাংকিং শুধু হিসাব খোলা ও আমানত সংগ্রহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ঋণ বিতরণের মাধ্যমে আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখার ক্ষেত্রে এটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, অক্টোবর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাই থেকে অক্টোবর এই চার মাসেই বেড়েছে প্রায় ১৩৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। এজেন্ট ব্যাংকিং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর পর্যন্ত তিন হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা রেমিট্যান্স বিতরণ করা হয়েছে।