নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের কোনো গ্রাহকই চান না লাইন ধরার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে। সেটা টাকা জমা বা উত্তোলন যে সময়েই হোক না কেন। তাই দিনের পর দিন এটিএম বুথের ব্যবহার বাড়ছে। এর পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনের (সিডিএম) জনপ্রিয়তাও। কারণ এ মেশিনের মাধ্যমে টাকা জমা ও উত্তোলন উভয় সুবিধা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলার ভোগান্তি কমাতে ২৬ বছর আগে অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) চালু হয়েছিল। আর আট বছর আগে চালু হয় টাকা জমা নেওয়ার মেশিন ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম)। করোনা মহামারির সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা ও উত্তোলনের উভয় সুবিধাসম্পন্ন মেশিনও চালু হয়েছে। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য ব্যাংকগুলো এখন তাদের এটিএমগুলোকে সিআরএমে রূপান্তরিত করছে। এতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে আধুনিক এই যন্ত্রের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সিআরএমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট এক হাজার ২০০টি, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৩.৮৪ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষে সিআরএমের সংখ্যা ছিল ৭৮০টি। আর ২০১৯ সালে মহামারির ঠিক আগে ছিল ২৫৪টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিআরএম বুথ ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের ভূমিকা পালন করছে। নির্দিষ্ট মূল্যমানের নোট গুনে নেওয়ার পাশাপাশি সেগুলো ছেঁড়া, ময়লা, আসল না জাল সেটিও যাচাই করছে। নির্দিষ্ট মূল্যমানের নিচের নোট জমা দিলে সেটিও ফেরত দিচ্ছে। এ প্রযুক্তির মেশিনে সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও অর্থ স্থানান্তরের সুবিধাও চালু হয়েছে। তবে এটিএমের চেয়ে সিআরএম ব্যয়বহুল হওয়ায় ব্যাংকগুলো এই মেশিন বসাচ্ছে ধীর গতিতে। যদিও মহামারির কারণে শাখাগুলোতে ভিড় কমাতে অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে সিআরএম গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
দেশে সিআরএমের প্রথম প্রচলন শুরু করে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক। তারা একটি সিআরএম দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন সেটা বেড়ে ৪০টিতে পৌঁছেছে। সিটি ব্যাংক ছাড়াও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক সিআরএম স্থাপনে প্রথম সারিতে রয়েছে।