বিনোদন প্রতিবেদক: নতুন ধারার আরও একটি নাটক নিয়ে দর্শকের সামনের আসছেন সময়ের ব্যস্ত নাট্য নির্মাতা সোহেল তালুকদার। নাটকের নাম ‘এটেম টু বিয়ে’। ভিন্ন ধারায় এই নাটকটি রচনা করেছেন সাংবাদিক ও নাট্যকার মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ।
গ্রামীন পটভুমিতে রচিত এ নাটকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আ খ ম হাসান। তার বিপরীতে রয়েছে ছোট পর্দার আর এক জনপ্রিয় মুখ নাদিয়া। নাটকটির শুটিং হয়েছে গাজীপুরে।
নাটকের গল্পে আ খ ম হাসানকে দেখা যাবে নজরুল চরিত্রে। নজরুল গ্রামের সহজ-সরল যুবক। কারও ক্ষতি সে কখনও করে না। গ্রামের লোকজন ও তাকে ভালোবাসে। কিন্তু একটি জায়গা নজরুল গ্রামের অন্য সব যুবকের চেয়ে আলাদা। তার বিয়ের বয়স পার হচ্ছে যাচ্ছে, কিন্তু সে পণ করেছে বিয়ে করবে না। তার ধারণা বিয়ে করলে জীবন বরবাদ হয়ে যাবে। তার মা আয়না বিবি সারাক্ষণ তাকে বিয়ের তাড়া দেয়। কিন্তু বিয়ে করে সংসারে অশান্তি বাড়তে চাই না সে। সবাইকে বুঝাতে চাই বিয়ে না করার নানান সুবিধা রয়েছে।
অন্যদিকে, একই গ্রামের মেয়ে নাদিয়া। তাকে দেখা যাবে টুম্পার ভূমিকায়। টুম্পা নজরুলকে ভালোবাসে। কিন্তু নজরুল তাকে সহ্য করতে পারে না। অন্যদিকে টুম্পা গো ধরে আছে নজরুলকে সে যেকোন মূল্যে বিয়ে করবেই।
নজরুলের মায়েরও সেই ইচ্ছে। গ্রামের মাতব্বর আজিজ থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব সবাই নজরুলের বিয়ের কথা বলে বলে হয়রান। কিন্তু জীবন চলে গেলেও বিয়ের মত কঠিন কাজটি করবেন না নজরুল। এক সময় টুম্পা তার বন্ধুদের নিয়ে ফাঁদে ফেলে নজরুলকে বিয়ে করতে চাই। এতে সায় আছে নিজের মা থেকে গ্রামের সবার। কিন্তু এই পরিকল্পনা জেনে ফেলে নজরুল। সে সিদ্ধান্ত নেয় টুম্পার নামে এটেম টু বিয়ের মামলা কররে। এতে স্বাক্ষী দিতে হবে তার মাকে। এরমধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা পাবে এক নতুন ধরনের মামলা। নতুন ধারার এ মামলার কথা শুনে চারিদিকে হইচই পড়ে যায়। ঘটতে থাকে নানান কাণ্ড। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে নাটকের গল্প।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক সোহেল তালুকদার বলেন, আমার নাটকে সব সময় বার্তা থাকে। নাটক শুধু কমেডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি না। এই নাটকটিও তেমন। আশা করছি নাটকটি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।
নাদিয়া বলেন, নাটকটির গল্প চমৎকার। কমেডির পাশাপাশি এখানে ভালো বার্তা রাখা হয়েছে। আমার মনে হয় এটি ভালো লাগার মত একটি কাজ।
নাট্যকার মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ বলেন, সোহেল ভাইয়ের নাটক দেখা হয়। তার ভ্যাজাইল্লা গ্রাম, নষ্ট বাসরসহ আরও কিছু নাটক দেখা হয়েছে। তিনি অনেক ভালো কাজ করেন। এটি তার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। প্রথম কাজেই বুঝতে পারছি খুব গুছিয়ে কাজ করেন তিনি। একটি ভালো কাজ হওয়ার জন্য এটি খুবই জরুরি। নাটকের কাহিনী অনুযায়ী পরিচালক সঠিক শিল্পী নির্বাচন করেছেন বলে আমি মনে করি। সবচেয়ে বড় কথা খুবই আন্তরিক মানুষ তিনি। সব মিলে দারুণ এক অনুভূতি কাজ করছে। আশা করছি দর্শক এই নাটক থেকে ভালো বার্তা পাবেন। নাটকটিতে শুধু কমেডি রাখা হয়েছে তা নয়। চেষ্টা করেছি ভালো ম্যাসেস দেওয়ার।