নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনী বছরে ব্যাংকগুলোকে একের পর এক ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো সরকারি আমানত অর্ধেক পাওয়ার পর সিআরআরে (নগদ জমা সংরক্ষণ) এক শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। এবার এডিআর (ঋণ-আমানত অনুপাত) সমন্বয়ে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এডিআর সমন্বয়ে ব্যাংকগুলো এখন ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় পাবে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অব সাইট সুপারভিশনের এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, এডিআর সমন্বয়ে ব্যাংকগুলো এখন আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় পাবে।
বেসরকারি খাতে ঋণের লাগাম টানতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) পরিবর্তন করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এডিআর হার কমিয়ে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য এডিআর ৮৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য ৮৯ শতাংশ করা হয়েছিল। যেসব ব্যাংকের ঋণ বিতরণ এ সীমার মধ্যে নেই, তাদের চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নির্ধারিত সীমায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন এ হার সমন্বয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
ব্যাংকগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে এ সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এডিআর সমন্বয়ে ব্যাংকগুলো এখন আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় পাবে। এডিআরের নতুন হার নির্ধারণে আগে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত ছিল ৮৫ শতাংশ আর ইসলামি ধারার ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঋণ-আমানত অনুপাত ৯০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, এডিআর নির্দেশিত মাত্রা অতিক্রান্ত থাকা ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বিধিসম্মত মাত্রায় নামিয়ে আনার কার্যপরিকল্পনা চলতি বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অত্র বিভাগে দাখিল করতে হবে। এ বিষয়ে অগ্রগতির মাসিক প্রতিবেদনও প্রতি মাসান্তের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অত্র বিভাগে দাখিল করতে হবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট দূর করতে সিআরআর থেকে এক শতাংশ কম রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ এখন থেকে ব্যাংকগুলোর আমানতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে নগদ টাকা জমা রাখে (সিআরআর), তা এক শতাংশ কম রাখতে হবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো সাড়ে ছয় শতাংশ টাকা নগদ জমা রাখে।