Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:49 am

এডিএন টেলিকম লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আইটি খাতের কোম্পানি এডিএন টেলিকম লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ১২ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪১ টাকায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩৩টি শেয়ার মোট ৩ হাজার ৭২৭২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৫৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা এক পয়সা (সমন্বিত), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা (একক)। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা (সমন্বিত), যা আগের বছর একই সময় যা ছিল ৬০ পয়সা (একক)। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪৪ পয়সা (ঘাটতি)।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫৯ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেরও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৫৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ২৫ টাকা ৯৭ পয়সা। আর ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ১০ পয়সা। এর আগের বছর বা ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৮৬ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ এনএভি ছিল ২৫ টাকা ২৭ পয়সা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ার। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তাদের মোট ছয় কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৫১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এক দশমিক ৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আমরা টেকনোলজিস লিমিটেডের ৯ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে। জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস লিমিটেডের ৬ দশমিক ০১ শতাংশ এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।