Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 1:30 pm

এডিবির পূর্বাভাস চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৯ শতাংশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাত দশমিক চার শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে সরকারের এ লক্ষ্য অর্জন হবে না বলে মনে করে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে সরকার মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তার চেয়ে মূল্যস্ফীতি আরও বেশি হবে বলে এডিবি মনে করে। গতকাল প্রকাশিত সংস্থাটির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এমনটি জানানো হয়।

এডিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল চ‚ড়ান্ত হিসাবে তার চেয়ে বেশি হয়েছিল প্রবৃদ্ধি। এর অন্যতম কারণ ব্যক্তিখাতে ভোগবৃদ্ধি ও সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি। আর চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে মনে করছে এডিবি। যদিও সরকারের প্রাক্কলন সাত দশমিক চার শতাংশ। সাম্প্রতিক বন্যায় অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কমবে। এতে করে কমবে স্থানীয় চাহিদা, যা প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে এডিবি। অন্যদিকে চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি সাড়ে পাঁচ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। কিন্তু এটি বেড়ে ছয় শতাংশ হবে বলে মনে করে এডিবি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও সেই অনুপাতে বাংলাদেশের রফতানি বাড়েনি। রফতানি এক জায়গায় স্থবির হয়ে আছে। কিন্তু আমদানি বাড়ছে। গত বছর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মতো ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও ছয় দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি। এবারের প্রতিবেদনে সেই প্রাক্কলনে পরিবর্তন আনেনি ম্যানিলাভিত্তিক সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষি খাতে তিন দশমিক চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। বন্যার কারণে এবার তা দুই দশমিক ছয় শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে রফতানি খাতে এবার ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা দেখাচ্ছে এডিবি, যা গত বছর মাত্র এক দশমিক সাত শতাংশ ছিল।

গত বছরের মতো এবারও রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধাক্কার পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে এবার তিন শতাংশ রেমিট্যান্স কম আসতে পারে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছিল ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

গত অর্থবছর দেশের আমদানি ৯ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। মূলত গমসহ অন্য খাদ্যপণ্য এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছিল।