শেয়ার বিজ ডেস্ক: সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়নহীনতার সমালোচনা করে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসনের চরম অবনতি: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর: বিডিনিউজ।
সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এডিস মশা আওয়ামী লীগকেও চিনে না, বিএনপিও চিনে না, সরকারি দল চিনে না, ডাক্তারও চিনে না, ইঞ্জিনিয়ারও চিনে না, ধনীও চিনে না, গরিবও চিনে না। এদের সুযোগ দিলে সুযোগটা পায়। এ ডেঙ্গু সমস্যার সমাধান মিলেমিশে করতে হবে, সম্মিলিতভাবে করতে হবে। এ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর ডেঙ্গুর সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের তুলনাও করেন।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও খন্দকার মো. মহিউদ্দিন মাহির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ-হিল মাসুদ, মিয়া মো. আনোয়ার, আ স ম মোস্তফা কামাল, নাদিয়া পাঠান বক্তব্য রাখেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ডেঙ্গু বনাম খুন-গুম-নারী নির্যাতন। এ দুইটা যদি প্রতিযোগিতা হয়, দেখা যাবে ডেঙ্গু এখনও শিরোপা অর্জন করে নাই। ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত যতজন মারা গেছে, তার চেয়ে গুম-খুন-নারী নির্যাতনে লাশের মিছিল অনেক বড়। তাহলে ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়াবহ কে? এই সরকার। তারা ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়ানক।
সিটি করাপশন: গয়েশ্বর রায় বলেন, দুটি সিটি করপোরেশন আছে। মানুষ রসিকতা করে বলে সিটি করাপশন। অর্থাৎ এ সিটি ভবন মানে এখানে করাপশনের আড্ডাখানার আওতায়। সব এলোমেলো। প্রতি বছর কিন্তু মশা মারার নির্ধারিত বাজেট আছে। ডেঙ্গুর বাইরে কিন্তু সাধারণ মশা আছে। এ সাধারণ মশা মারার একটা প্রকল্প আছে, তাদের সুনির্দিষ্ট বিভাগ, কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে। প্রতি বছর ওষুধ বা ভেজাল যেটাই বলুন কেনা হয়। এগুলো কী হয়? এগুলো যা হবার যথারীতি তাই নয়। এগুলো ভাগাভাগি হয়।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থনা: গয়েশ্বর বলেন, এ সরকার খুব ভালো অবস্থায় নেই। এটা মন্ত্রীদের কথা-বার্তায় মনে হয়। আর প্রধানমন্ত্রী ছাড়া তো কেউ কথাও বলেন না। চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন। দেশের অবস্থা যত খারাপ, তার চেয়ে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা ভয়াবহ। তা না হলে তিনি তাড়াতাড়ি দেশে আসতেও পারতেন। তিনি যখন আসতে পারছেন না। দেশের মানুষ বন্যায় ভাসতেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। মনে হচ্ছে, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কঠিন অবস্থায় আছেন। তার অবস্থাটাকে পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত না করে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে বিএনপি নেতা বলেন, উনার চোখটা সুস্থ করুক, মনটা সুস্থ করুক, ভাবনাটাকেও সুস্থ করুক। আমরা মানুষের অমঙ্গল কামনা করি না।