এত দিনে ‘প্রথম’ কভিড রোগী উত্তর কোরিয়ায়

শেয়ার বিজ ডেস্ক: গোটাবিশ্ব কভিড তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হলেও এত দিন উত্তর কোরিয়ার দাবি ছিল, তাদের দেশে কোনো কভিড-১৯ রোগী পাওয়া যায়নি। খবর: এপি।

কভিড মোকাবিলায় বিশ্বে নজির সৃষ্টির দাবি করেছিলেন দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন। কিন্তু এবার এক কভিড-আক্রান্ত বোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানায় দেশটি। তাই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন কিম।

দেশে ‘প্রথম’ কভিডে আক্রান্ত হওয়ার হদিস পাওয়া গেছে বলে গতকাল এক প্রতিবেদন জানায় উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ।

রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক ব্যক্তির দেহে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। সংক্রমণের খবর পাওয়ার পর পলিটব্যুরোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন কিম। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। বৈঠকে কিম বলেন, করোনাভাইরাসকে সমূলে ধ্বংস করতে হবে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে কিমের দাবি, যেহেতু উত্তর কোরিয়ার মানুষ অত্যন্ত সচেতন, তাই তারা এই জরুরি অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, মুখে যা খুশি দাবি করলেও উত্তর কোরিয়ায় কভিড সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে টিকাদান পরিসংখ্যানÑদেশটির প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষের একজনও কভিড টিকা নেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার টিকা নেয়ার দাবি জানালেও সেই অনুরোধ আমলে নেননি কিম।

বন্ধুরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়া টিকা দেয়ার প্রস্তাব দিলে তাও ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে দেশটিতে মৃত্যুহার অত্যন্ত বেশি হবে বা হচ্ছে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে কিম প্রশাসন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মহামারি শুরু হলে দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় কিম সরকার। কিন্তু তবু সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি বলে দাবি বিশ্লেষকদের। দক্ষিণ কোরিয়ার আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের এক গবেষক গো মিয়ং হিউন জানান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন থেকে উত্তর কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। এ কারণে সিউলের ওপর ক্ষুব্ধ কিম ভয়াবহ বদলার কথা ভাবছেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০