এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত বেড়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি খাতের এনআরবিসি ব্যাংকের বিভিন্ন সূচকের উন্নতি হয়েছে। গত বছর ব্যাংকটির আমানত বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণ বিতরণ বেড়েছে। এ সময় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার আমানত বেড়েছে। একই সময় ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ বেড়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটি গত বছর ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। ব্যাংকটির বিভিন্ন আর্থিক সূচকের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

তথ্য মতে, ২০২২ সালে ব্যাংকটির আমানতের স্থিতি ছিল ১৬ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয় ১৭ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে আমানত বেড়েছে এক হাজার ৪৯৮ কোটি বা ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।

গত বছর ব্যাংকটির আমানত বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও (হিসাব) বেড়েছে। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির অ্যাকাউন্ট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০টিতে, যা ২০২২ সাল শেষে ছিল ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭৯২টি। এক বছরে ব্যাংক হিসাব বেড়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ২৫৮টি।

গত বছর শেষে ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকায়, যা এর আগের বছর শেষে ছিল ১৩ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৮৯১ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকটির আমানতের চেয়ে ঋণ বিতরণ কম।

গত বছর ব্যাংকটি ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তথ্য মতে, গত বছর শেষে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকায়, যা ২০২২ সাল শেষে ছিল ১ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। এক বছরে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ বেড়েছে এক হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। ২০২২ সালে বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫২৭ কোটি টাকা।

ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের বিষয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া বলেন, প্রত্যন্ত গ্রাম-বাংলার উন্নয়নে এনআরবিসি ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালু করেছে। তা সফলভাবে অব্যাহত রেখেছে। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে কারিগরি সহযোগিতার জন্য এসকেএস ফাউন্ডেশন এনজিওর সঙ্গে পার্টনারশিপ চুক্তি করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, এসকেএস ফাউন্ডেশন ২০১৪ সাল থেকে আমাদের ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহক এবং অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং তাদের আদায়ের হার প্রায় শতভাগ।

এদিকে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে ব্যাংকটি ১৩১টি পার্টনারশিপ উপশাখাকে পূর্ণাঙ্গ উপশাখায় রূপান্তর করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে ২৫টিকে পূর্ণাঙ্গ উপশাখা হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। আরও ৭টির কাজ চলমান। এছাড়া ৪৯টি পূর্ণাঙ্গ উপশাখা করার জন্য বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো হয়েছে।

২০২৩ সাল শেষে সারাদেশে ব্যাংকটির শাখা দাঁড়িয়েছে ১০৬টিতে, যা ২০২২ সাল শেষে ছিল ১০৩টি। উপশাখা দাঁড়িয়েছে ৬৯১টিতে, যা ২০২২ সালে শেষে ছিল ৪০৭টি। অর্থাৎ গত বছর শাখা ও উপ-শাখার সংখ্যা দুটোই বেড়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০