ক্রীড়া ডেস্ক : আগের ম্যাচে হেরে এমনিতেই কোণঠাসা অবস্থায় পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তার ওপর গত পরশু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বড় করতে না পারায় আক্ষেপে পুড়ছিল দলটি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য লুঙ্গি এনগিডি ও কাগিসো রাবাদার শেষ দিকের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ১৫৯ রান তাড়ায় গত পরশু শেষ ১৪ বলে জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২১ রান। উইকেটে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। ঠিক সে সময় ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মার্শ সীমানায় ক্যাচ হন। তার আগে ফাফ ডু প্লেসির অসাধারণ দক্ষতায় বলকে মাঠেই রাখেন। আর সে বল ঝাঁপিয়ে লুফে নেন মিলার। পরের ওভারে ম্যাথু ওয়েডকে নিজের শিকার বানিয়ে ফেরান কাগিসো রাবাদা। পুরো ওভারে একটি ওয়াইডসহ মাত্র ৩ রান দেন তিনি। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা হঠাৎ করেই চালকের আসনে বসে। অজিদের শেষ চার বলে জিততে দরকার ছিল ১৬ রান। কিন্তু নর্তিয়ের করা বলগুলোয় প্রয়োজনীয় রান নিতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল স্টার্ক। তাই সফরকারীদের হারতে হয়েছে ১২ রানে। এর ফলে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়ারা। আগামী ২৬ তারিখে কেপটাউনে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল। এর আগে প্রোটিয়াদের ঝড়ো শুরু এনে দিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু অধিনায়কের ৪৭ বলে ৭০ রানের ইনিংসের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি কেউ। পরে বলার মতো রান করতে পেরেছেন শুধু ফন ডার ডুসেন (৩৭)। ৭ উইকেট থাকা সত্ত্বেও শেষ ৫ ওভারে ৩৬ রান তোলে দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় অজিদের দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলা অস্ট্রেলিয়া ১০০ পেরিয়ে যায় ১৩তম ওভারে। কিন্তু এনগিডি-রাবাদার শেষদিকের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়।
