নিজস্ব প্রতিবেদক: করের আওতা বৃদ্ধি ও ইটিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে বিআরটিএ, ভূমি রেকর্ড অফিস ও সিটি করপোরেশনের ডেটাবেজের সঙ্গে এনবিআরের যুক্ত থাকার প্রতি জোর দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন এমন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, করদাতার রিটার্নে সব সম্পদ প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করতে, ইটিআইএন অবশ্যই বিআরটিএ, ভূমি রেকর্ড অফিস ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। এ ধরনের অটোমেশন সম্ভাব্য ট্যাক্স দাখিলকারীদের ট্যাক্স জালের আওতায় আনা নিশ্চিত করবে। তাদের কোনো ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে উৎসাহিত করবে। এছাড়া রিটার্ন ফাইলিং, ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট, আপিল ও ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়াসহ সব কর প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন। শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমাদের প্রস্তাবনার মূল উদ্দেশ্যই হলো কীভাবে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা যায়। এর পাশাপাশি কর ব্যবস্থাপনা, কর ফাঁকি, করের আওতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান আইনের অসামঞ্জস্য কীভাবে দূর করা যায়, সে বিষয়ে এনবিআরকে সহায়তা করা।
জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনাগুলো চারটি অংশে বিভক্ত করার কথা উল্লেখ করে আইসিএবি নেতা বলেন, আমাদের সংগঠনের প্রস্তাবনাগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেÑরাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও আয়কর অধ্যাদেশ-সংক্রান্ত, আইনের বৈপরীত্য ও ফাঁক হ্রাসকরণ-সংক্রান্ত, আইনের প্রয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত এবং বিনিযোগ কার্যক্রমকে অধিকতর উৎসাহ দেয়া ও দেশ থেকে মূলধন পাচার রোধ-সংক্রান্ত প্রস্তাবনা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, কাস্টমস আইন এবং তৎসংক্রান্ত বিধিমালা নিয়েও আইসিএবির সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা আছে।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন এনবিআরের কাস্টমস সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।