নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (ভ্যাট গোয়েন্দা) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। গতকাল অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মো. আহসান হাবিবের সই করা আদেশ জারি করা হয়েছে।
সূত্রমতে, ২০২০ সালের জুন থেকে মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা পশ্চিম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনারসহ বিভিন্ন পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৯৪ সালে ১৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারে যোগ দেন তিনি। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আট বছর অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে অবস্থান করেন। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পলিসিং, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কাউন্টার টেররিজমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে ২০০৩ সালে জাপানের গ্রিপস থেকে মাস্টার্স ইন পাবলিক ফাইন্যান্স এবং ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড থেকে এমবিএ সমাপ্ত করেন।
২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্বর্ণ, মুদ্রা, মাদক, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়িসহ নানা পণ্যের চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি ও অপবাণিজ্য রোধে ব্যাপক ও দৃশ্যমান কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
ড. মইনুল খান তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন (ডবিøউসিও) থেকে সার্টিফিকেট অব মেরিট, গ্রিপস (জাপান) থেকে বেস্ট অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন।
চাকরি ও লেখাপড়ার পাশাপাশি সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। তিনি বিষয়ভিত্তিক লেখার পাশাপাশি ভ্রমণকাহিনি ও ছোটগল্প লেখেন। তার লেখা পুরুষের চল্লিশা ও গুডাই সিডনি প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার রচিত গোয়েন্দা কাহিনি স্বর্ণমানব বেশ আলোচিত। এছাড়া টেলিভিশনে তার গল্পে ও সার্বিক নির্দেশনায় নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি টেলিছবি ও নাটক, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্বর্ণমানব, ভ‚তের নাম একা, কাইল্লাচোরা, আবার কাইল্লাচোরা, মুক্তির টানে, মিথোজীবী ও সুখপাখি। পাশাপাশি নাট্যকার হিসেবেও সম্পৃক্ত তিনি। তিনি নাট্যকার সংঘের একজন সক্রিয় সদস্য। এরই মধ্যে মইনুল খানের রচিত ১৭টি নাটক নির্মিত হয়েছে।