নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য ।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা তিন টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির আট লাখ ৮৮ হাজার ৫৯৪ শেয়ার মোট ৫৭৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৫০ লাখ ৭১ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ৯ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা কারে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ ও তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৮ টাকা ৭৫ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১২ মাসে ইপিএস ছিল তিন টাকা ৭৬ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৩৮ টাকা ১৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থাপন করা হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ ছিল ১৪ নভেম্বর।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারমূল্য আয় অনুপাতে ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। জুন ক্লোজিং কোম্পানিটি অনিরীক্ষিত চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে পাঁচ কোটি সাত লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে চার পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৩৯ টাকা আট পয়সা। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ছয় দশমিক ৯৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
Add Comment