এনভয় টেক্স ও হাইডেলবার্গ সিমেন্টের পর্ষদ সভা আগামী সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড ও  হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনভয় টেক্সটাইলস: আগামী ১১ অক্টোবর বেলা সাড়ে ৩টায় ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গতকাল কোম্পানিটির ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৩২ হাজার ৬২টি শেয়ার মোট ৪৮ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর দশমিক ৫১ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ৯ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ ও তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৮ টাকা ৭৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫৬ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, বিদেশি চার দশমিক ৩০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

হাইডেলবার্গ সিমেন্ট: আগামী ১০ অক্টোবর বেলা পৌনে ৩টায় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

গতকাল কোম্পানিটির ১৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে তিন হাজার ৯৩৮টি শেয়ার মোট ৭৯ বার হাতবদল হয়। ওই দিন শেয়ারদর দশমিক ৭১ শতাংশ বা তিন টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪২৮ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪২৮ টাকা ১০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪২৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৪২৫ টাকা থেকে ৫৭৪ টাকায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৬ টাকা ৬৯ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৯৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২৪ টাকা ৮১ পয়সা ও ১০২ টাকা ২৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৫০ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর ছিল ১৪০ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন রয়েছে কোম্পানিটির। আর পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৫৬ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫০২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

কোম্পানির মোট পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ তিন হাজার ৫৮০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৬০ দশমিক ৬৭ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৫২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০