নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা দুই পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯৭ পয়সা ও ১৯ টাকা ১৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৬০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল পাঁচ টাকা ৪৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ আগস্ট।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪০ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৯ টাকা ৬১ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে তিন টাকা ৫৯ পয়সা, আগের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা লোকসান।
ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ইসিআরএল।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ছয় কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ৮১৭টি শেয়ার মোট ৮১৩ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১১ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ৬ দশমিক ৪৭ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৩ দশমিক ৯৯।
‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৯২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৩ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ১১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার।