নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ছয় কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ১৩ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ছয় কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বা ৪৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৮ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়ায় ৩৫ পয়সা।
আইপিও-পূর্ব পেইডআপ শেয়ারের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৪৩ পয়সা, আইপিও-পরবর্তী পেইডআপ শেয়ারের ভিত্তিতে যা ৪৭ টাকা ৬৪ পয়সা। কোম্পানিটির আইপিও-পূর্ব মোট শেয়ারের সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০, আইপিওর পর যা দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি এক লাখ ৬৩ হাজার ২১৬।
এদিকে সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫০ শতাংশ বা ১৫ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৮০৫টি শেয়ার মোট মাত্র পাঁচবার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৪০ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৫তম কমিশন সভায় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের আইপিও অনুমোদিত হয়। ৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় ১১ ডিসেম্বর। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই কোটি এক লাখ ৪৬ হাজার ৮০০টি সাধারণ শেয়ার ৩১ টাকা মূল্যে (প্রান্তসীমা মূল্য থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) বিক্রি করতে আইপিওর আবেদন গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে তারা ৬২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা উত্তোলন করেছে।
এর আগে বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে বিডিংকৃত দরে দুই কোটি এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৬টি ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৭০ কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৮১০ টাকা উত্তোলন করেছে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহের কাজে খরচ করবে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাববছরে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ১৩ পয়সা।