Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 8:21 pm

এনার্জি প্যাক পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি করল পদ্মা অয়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটি এলপিজি বিক্রির উদ্দেশ্যে এলপিজি (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করবে এবং কোম্পানির নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অয়েল বিক্রির সঙ্গে এলপিজি কনভারসন ওয়ার্কশপ প্রতিষ্ঠা করবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি লিটার এলপিজি বিক্রির বিপরীতে কোম্পানিটি ৫০ পয়সা রয়ালিটি পাবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে সাত টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল পাঁচ টাকা ৩৮ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা ৪৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৪২ টাকা ৮৫ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা শূন্য সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪২ টাকা ৮৫ পয়সা। আর ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ২৮৫ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এর আগে পদ্মা অয়েল ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১২৬ টাকা ৭৮ পয়সা। মুনাফা হয়েছিল ৩৩৫ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩০৫ কোটি চার লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে দুই দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, সরকারি ৫০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৬৪ শতাংশ বা তিন টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২১৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১৬ টাকা ৩০ পয়সা। ওইদিন ৮৯ হাজার ৬৯টি শেয়ার মোট ৪৭৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৫৫ টাকা থেকে ২৪৫ টাকায় ওঠানামা করে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত সাত দশমিক ৪৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে সাত দশমিক ৮৬।