শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এনার্জি প্রিমার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন শাহীন জানান, ৫০ মেগাওয়াটের এনার্জি প্রিমার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতের বিবেচনায় বিনিয়োগের অনুকূলে থাকা দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে আছে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি। বর্তমানে এ তালিকার শীর্ষ দশটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটিই হচ্ছে ব্যাংক। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বর্তমান পিই রেশিও পর্যালোচনায় এমনটাই দেখা যায়।
বিনিয়োগের অনুকূলে থাকা এ ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ইউসিবিএল, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, উত্তরা ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংক। শীর্ষ দশের অপর প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে এআইবিএল ইসলামী মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এসিআই লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার ও তিতাস গ্যাস।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তালিকায় থাকা এসব ব্যাংকের মধ্যে ইউসিবিএলের শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত ৫ দশমিক ৬৫। পরের স্থানে থাকা ব্যাংক এশিয়ার পিই ৬ দশমিক ২২। এছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংকের পিই ৬ দশমিক ৫৭, উত্তরা ব্যাংকের ৭ দশমিক ১৭ এবং যমুনা ব্যাংকের পিই ৭ দশমিক ৫৪ তে অবস্থান করছে। এদিকে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত ভালো থাকায় বর্তমানে এসব শেয়ারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে দীর্ঘদিন থেকে এসব শেয়ারের দর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। প্রতিনিয়তই গড় লেনদেনে উল্লেখযোগ্য হারে অবদান থাকছে এখাতের। দীর্ঘদিন পর আবারও বাজার মূলধনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশই থাকছে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানির অবদান।
অন্যদিকে ‘এসব কোম্পানির শেয়ার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে কি না’জানতে চাইলে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, শুধু শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত ভালো সেই জন্যই এসব শেয়ারের দর বাড়ছে বা চাহিদা রয়েছে তা নয়। এসব শেয়ারের দর বাড়ার আরও উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ২০১০-১১ সালের ধসে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর সবচেয়ে কমে যায়। যার ফলে এসব শেয়ার ক্রয়যোগ্য হয়ে ওঠে। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এছাড়া গত বছর অধিকাংশ ব্যাংক সন্তোষজনক লভ্যাংশ প্রদান করেছে। সেজন্য এসব শেয়ারে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘খাতটিকে বলা হয় পুঁজিবাজারের সবচেয়ে শক্তিশালি খাত। ব্যাংকিং খাতে কিছু অনিয়ম সেইসঙ্গে পুঁজিবাজারে ধসের কারণে ২০১০ সালের পর এ খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যায়। যা দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এ খাতটিও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে এ খাতটিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।’
এদিকে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর এ খাতে আগ্রহ থাকলেও শেয়ারের ক্রমাগত দরবৃদ্ধি পাওয়ায় খাতটির অধিকাংশ শেয়ার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। তাদের মতে দীর্ঘদিন ধরে এসব শেয়ারের দর ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে দর বেড়ে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে গেছে। ফলে খাতটি নিয়ে দোলাচলে পড়েছেন তারা। তবে এ বিষয়ে বিনিয়োগের অনুকূলে শীর্ষ দশের পাঁচটিই ব্যাংক দ্বিমত পোষণ করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, এ খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে তবে তা খুব বেশি নয়। এখনও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। খাতটির গড় পিইও (১০ দশমিক ০৩) রয়েছে বিনিয়োগের অনুকূলে। ফলে খাতটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এটা বলা যায় না। এ প্রসঙ্গে মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থপনা পরিচালক খুজিস্তা-নূর-ই নাহারীন বলেন, খাতটির অধিকাংশ কোম্পানিতে এখনও বিনিয়োগ করার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পিই রয়েছে নিরাপদ জায়গায়। তাছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক মুনাফায় থাকার পাশাপাশি ইপিএস এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদও সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। সব মিলে এ খাতের অবস্থাকে খারাপ বলা যায় না।