এন্টি টোব্যাকো ক্যাম্পেইন এওয়ার্ড প্রদান করবে বিএমইটি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিএমইটি’র আওতাধীন ১১০ টি প্রশিক্ষণ সেন্টারে ড্রাইভিং ও পিডিও ক্লাসে যে সকল প্রশিক্ষক তামাক বিরোধী ভালো কাজ করবে তাদেরকে বাৎসরিক এওয়ার্ড প্রদান করার কার্যকরী রুপরেখা তুলে ধরেন বিএমইটি’র মহাপরিচালক। মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ টায় বিএমইটি’র মহাপরিচালকের সভাকক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সংস্থাসমূহের (ঢাকাস্থ) প্রশিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

যৌথভাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি-ডাস্, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-বাটা ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি। ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি-ডাসের নির্বাহী পরিচালক  আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালেহ আহমদ মোজাফফর , মহাপরিচালক- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর কনসালটেন্ট  মো: ফাহিমুল ইসলাম, যুগ্মসচিব-অনলিয়েন।

ডাস্ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন টিপুর সঞ্চালনায় সভায় পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপনা করেন ডাস্ পলিসি এনালিস্ট আসরার হাবীব নিপু এবং উপস্থাপক হিসাবে বক্তব্য রাখেন  ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন। সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ডাস্ টীম লীড আমিনুল ইসলাম বকুল। আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিকেটিটিসি, বিজিটিটিসি, কেটিটিসি ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্ন্ছো মুজিব কারিগরী প্রশিক্ষণ সেন্টারের অধ্যক্ষবৃন্দ যথাক্রমে প্রকৌশলী মো: লুৎফর রহমান, প্রকৌশলী মোসাা: ফৌজিয়া শাহনাজ,  রীনা আখতার জাহান ও মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বাটার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী  হেলাল আহমেদ।

এছাড়া আরও বক্তব্য দেন বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। সভায় বিভিন্ন টিটিসি থেকে আগত প্রশিক্ষকগন তাদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন মোটিভেশনাল ক্লাসে প্রশিক্ষনার্থীদের সচেতন করার কাজ নিয়মিতভাবে করে থাকেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আগামী জুন ২০২৪ টার্গেট করে বিএমইটি এন্টি টোব্যাকো ক্যাম্পেইন এওয়ার্ড বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ লক্ষ্যে প্রথমে সারা দেশে ১১০ টি ট্রেনিং সেন্টারের ট্রেইনারদের আগামী ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এর মধ্যে সম্পন্ন করতে তামাক বিরোধী কার্যক্রমের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সংগঠন গুলোকে যার যার সুবিধা থেকে এলাকা ভেদে এই কাজে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।

এ ব্যপারে তিনি খুব শীঘ্রই জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ও বিএমইটি’র প্রশিক্ষণ বিভাগের সাথে পরামর্শ করে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরী করবেন বলে জানান। এছাড়া প্রশিক্ষণ কারিকুলামে তামাক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি কিভাবে অন্তর্ভূক্ত করা যায় তার একটি খসড়া তৈরী করা ও তাঁর দপ্তরে জমা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ বিভাগকে নির্দেশনা দেন।

বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে পরোক্ষ ধূমপানকে গুরুত্বারোপ করে সকল টিটিসি সমূহকে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য সাধুবাদ জানান। বিএমইটি হতে প্রশিক্ষিত জনসম্পদ বহি:বিশ্বে দেশের মান উজ্জ্বল করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমইটি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, যুগ্মসচিব, প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ, উপপরিচালক আব্দুল গাফফার, বিইআর, ঢাকা আহসানিয়া মিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, নাটাব, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন সংস্থা, মানস, বাটা, বিএমইটি ও ডাস্’র প্রতিনিধিবৃন্দ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০