‘এন’ ক্যাটেগরির বিক্রয় চাপে চার মাস পর লেনদেন সর্বনিন্মে

মো. আসাদুজ্জামান নূর: আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ক্রেতাদের চেয়ে বিক্রেতাদের সক্রিয় দেখা গেছে। এদিন ১৩৩টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২০৫টির দর ও অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির। বাজারে এর প্রভাব পড়তে দেখা যায়। ডিএসইর প্রধান সূচক হ্রাস পায় দুই দশমিক ৯ পয়েন্ট।

গতকাল ট্যানারি, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে কেনার চাপ বেশি ছিল। অন্যদিকে টেলিযোগাযোগ ও ভ্রমণ খাতে বিক্রয় চাপ বেশি ছিল। গতকাল টেলিকম খাতে শূন্য দশমিক ১৬৮ শতাংশ বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ‘বি’ ক্যাটেগরির শেয়ারে কেনার চাপ ও ‘এন’ ক্যাটেগরির শেয়ারে বিক্রয় চাপ বেশি ছিল।

গতকাল লেনদেন ৭ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। সেদিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৬৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। প্রায় চার মাস পর লেনদেন হয় এক হাজার ২৭৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে এটি ছিল এক হাজার ৬৩৭ কোটি দুই লাখ টাকা।

গতকালও লেনদেনে শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। সব খাতকে ছাড়িয়ে বস্ত্র খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেনের প্রবণতা দেখা গেছে। সেই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যেও এ খাতের একাধিপত্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যদিও আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ আরও বেশি ছিল। গতকাল এ খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ২৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির।

গতকালও লেনদেন ভালো অবদান রেখেছে বিবিধ খাত। এ খাতের ছয়টি করে কোম্পানি শেয়ারদর বৃদ্ধি ও হ্রাস পায় এবং একটির অপরিবর্তিত ছিল। ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ অবদান রাখা এ খাতের লেনদেন ছিল ১৪৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪০ কোটি ৩০ লাখ।

পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ১৪৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ খাতের ১৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে ১৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল একটির।

লেনদেনে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। এ খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর হ্রাস পেতে দেখা যায়। ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর হ্রাস পাওয়ার বিপরীতে দর বেড়েছে চারটির ও অপরিবর্তিত ছিল ছয়টির। আগের কার্যদিবসের চেয়ে গতকাল এ খাতের লেনদেন অনেক কমেছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গতকাল সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ১২৬ কোটি সাত লাখে।

পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। পাঁচ দশমিক ৮৫ শতাংশ অবদান রাখা এ খাতের ২৩টি কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পায়। ১৬টির দর বৃদ্ধি ও তিনটির অপরিবর্তিত থাকতে দেখা যায়। লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমতে দেখা গেছে। গতকাল লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে এটি ছিল ১১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এরপর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় ছিল যথাক্রমে বিমা, ট্যানারি, জ্বালানি, জীবন বিমা প্রভৃতি।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দুই দশমিক ৯০ পয়েন্ট হ্রাস পায়। এতে প্রধান সূচক সাত হাজারের নিচে চলে যায়। দিনশেষে সূচক ছয় হাজার ৯৯৮ পয়েন্টে স্থির হয়। এছাড়া অন্য সূচকের মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস তিন দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক পাঁচ দশমিক ১০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ৬২৫ পয়েন্টে অবস্থান করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০