নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এন’ থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এন’ ক্যাটেগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে কোম্পানিটি উন্নীত হলো। ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে আজ থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ০১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য গত ২৩ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। আর এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ২৩ জুলাই। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৮২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২০ টাকা ৯৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল তিন টাকা ৩৩ পয়সা।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ‘এন’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে তাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৫ কোটি ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৬ শেয়ার রয়েছে। তাদের মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৪ দশমিক ০৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৫৩ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ১৮ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৭ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ২৬ পয়সা। এদিকে ৩০ জুন, ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ২৪ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫ লাখ ১২ হাজার ৮৯৫টি শেয়ার ৬৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৩২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।