নিজস্ব প্রতিবেদক:‘এন’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে গেল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এন’ ক্যাটেগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে গেল কোম্পানিটির শেয়ার। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে আজ থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২২ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা। এছাড়া ওই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ১২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৪৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৩২ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫২ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ১৪ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৯ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ৩০ পয়সা। এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৮ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯২ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩৫ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে ১টি শেয়ার মোট ১ বার হাতবদল হয়।
দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ এবং সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাদের ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৫ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১০৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৫০ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৮০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪২ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
