নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চামড়া খাতের কোম্পানি এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ কোটি ৩১ লাখ এক হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ২ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩০২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩১৯ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার ১০৯টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৭৭৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৫৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৫৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ৯৫ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংম বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯ টাকা ৩৬ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২৫৬ টাকা ৮১ পয়সা।
এপেক্স ফুটওয়্যার ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৮০ কোটি ১১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ০২ শতাংশ, এবং বাকি ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৬৮ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৫৪ পয়সা। এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩১ টাকা ৯৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৮ টাকা ২৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৫ টাকা ৮৪ পয়সা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭ কোটি ৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা। জেমেনি সি ফুড লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ৯ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮২ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ, ফাইন ফুডস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।