নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২০১৭-১৯ মেয়াদের নির্বাচন ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংগঠনটির নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য সাধারণ সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছে। গত রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম নবনির্বাচিত ব্যবসায়ী নেতাদের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ২০ মে শেষ হবে। গতকাল সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৪ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এর আগে ১৫ মার্চের মধ্যে সদস্যদের বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। বকেয়া পরিশোধ করলেই সদস্যদের নাম হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় স্থান পাবে।
কার্যক্রম শুরু হওয়া নির্বাচনের সূচিপত্র অনুসারে মনোনয়পত্র সংগ্রহের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ মার্চ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ এপ্রিল একই তারিখে মনোনীত পরিচালকদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল থেকে পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করে ২২ এপ্রিল বেলা ৩টার শেষ করবেন।
২৩ এপ্রিল নির্বাচনে অংশগ্রণকারী যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৬ এপ্রিল বিকাল ৪টার মধ্যে বাতিল হওয়া পরিচালক পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আপিল বোর্ডের কাছে আপিল করতে পারবেন। ২৭ ও ২৯ এপ্রিল আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পরে ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
প্রার্থীরা চাইলে ৬ মে বিকাল ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। ওইদিন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন এবং এর ভিত্তিতে ১৪ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
এদিকে ২৩ মার্চ ভোটারদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। তালিকা নিয়ে ২৮ মার্চের মধ্যে আপিল বোর্ডের কাছে অভিযোগ করা যাবে। ১ এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
উল্লেখ্য, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক আলী আশরাফ। এছাড়া পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা সামছুল আলম এবং মঞ্জুরুল হক রুবেল। এছাড়া আপিল বোর্ডে রয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন খায়রুল মাজিদ মাহমুদ ও মির্জা আবু মঞ্জুর।
Add Comment