এবার উল্টো পথে বিমা খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচক পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি ছিল সেবা ও আবাসন খাতে। ফলে এ খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে। এদিন শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল বিমা খাতে। ফলে আলোচ্য খাতটিতে শুধু দর কমেছে। এতে গত কয়েক কার্যদিবস টানা উত্থানের পর গতকাল উল্টোপথে ছিল খাতটি, যে কারণে গত কয়েক দিন দর বৃদ্ধির ফলে খাতটির শেয়ারগুলো যে মুনাফায় রয়েছে, তা সংগ্রহে এ পতন হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে একটির দর বেড়েছে এবং একটির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে এক শতাংশ। শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, মিউচুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন, সিমেন্ট, ব্যাংক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাত। খাতটিতে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৩ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ব্যাংক খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্যমতে, বুধবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩২২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে।

এদিন ৩২২টি কোম্পানির ১৫ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৮৫৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮১১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল রূপালী লাইফের শেয়ার। এরপরের তালিকায় ছিলÑজেমিনি সি ফুড, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং, ফু-ওয়াং ফুড, জনতা ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ও মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ৪৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ২৭ কোটি ৮৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯ টাকার শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০