নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলার সংকটের এ সময়ে রেমিট্যান্সের পর এবার কমল রপ্তানি-আয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গত মাসে বিশ্ববাজারে ৩৮৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের গত ৯ মাসের মধ্যে এটিই সর্বনিন্ম। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, মে মাসে বিশ্ববাজারে রপ্তানি-আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৩ কোটি ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-জুন সময়কালে (৯ মাস) পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ডলার। গত বছরের আগস্টে রপ্তানি-আয় ছিল ৩৩৮ কোটি ৩০ ডলার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি মাসেই ৪০০ কোটি ডলারের বেশির রপ্তানি-আয় হয়।
৩৮৩ কোটি ডলারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে পোশাক খাতে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়পর্বে সামগ্রিক ৩৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের আরএমজি পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ২০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। আর তৈরি পোশাকে ১৭ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
পোশাক খাতে রপ্তানি-আয় বৃদ্ধি নিয়ে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি একটি ক্রমাগত ইতিবাচক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখাচ্ছে, যা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক, কিন্তু বর্তমানে
আমরা কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বদ্ব, কাঁচামালের বর্ধিত মূল্য এবং বিরাজমান জ্বালানি পরিস্থিতি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।
উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশগুলো মুদ্রাস্ফীতির সমস্যায় পড়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন দাম কিছুটা ভালো হলেও আমাদের বর্ধিত উৎপাদন খরচের সমান নয়। আমাদের কর্মদক্ষতা (প্রক্রিয়ার দক্ষতা এবং শ্রমিকদের দক্ষতা উভয়ই), আমাদের কারখানার আধুনিকীকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।