শোবিজ ডেস্ক: গণ্ডিবদ্ধ কোনো জায়গায় এক-দুই-তিনজনের হাসির অভিনয়। অন্তরালে থেকে থেকে হাসির রোল। এ ধরনের টিভি ধারাবাহিক দেখে বাংলাদেশের দর্শকরাও অভ্যস্ত। এগুলোকে বলা হয়ে থাকে ‘সিচুয়েশনাল কমেডি’, যার সংক্ষিপ্ত রূপ আবার ‘সিটকম’।
এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে আমদানি করা এ ধরনের ইংরেজি কমেডি সিরিজ দেখানো হতো। এগুলো দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছিল। ডিশ এন্টেনার কল্যাণে এখন স্টার ওয়ার্ল্ডসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত ‘টু অ্যান্ড এ হাফ মেন’, ‘সেইনফিল্ড’, ‘দ্য বিগ ব্যাং থিউরি’, ‘মডার্ন ফ্যামিলি’, ‘ফ্রেন্ডস’, ‘হাউ আই মেট ইউর মাদার’, ‘দ্যাট সেভেন্টিজ শো’, ‘কাপলিং’ সিরিজগুলোর বাংলাদেশে এক শ্রেণির দর্শক আছেন। কেউ কেউ দেখেন অবশ্য ইউটিউবে।
এমন দর্শক চাহিদা থাকার পরও দেশি কোনো টিভি চ্যানেল বাংলা ভাষায় সিটকম করেনি। ইটিভি শুরুতে অবশ্য কিছুটা এ
ধরনের হাসির নাটক (ভোলার ডায়েরি) করেছিল। যা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এর মাধ্যমেই সাজু খাদেম পরিচিতি পান। তবে মূলধারার সিটকম নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা
যায়নি। সেই শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসছেন নির্মাতা
অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও কাহিনীকার-অভিনেতা-প্রযোজক সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন।
প্রথমবারের মতো তারা বানাতে যাচ্ছেন ‘সিটকম’। এ বিষয়ে গাউসুল আলম শাওন বলেন, ‘আমি আর অমিতাভ বাংলাদেশে প্রথম সিটকমের প্ল্যান করেছি। অলরেডি ২০টি এপিসোড লেখাও হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে শুটিং শুরু করে দেব।’
এ পরিকল্পনার বিশদ জানিয়ে শাওন বলেন, ‘সপ্তাহে ছয় দিন এটি প্রচার হবে। আমরা যেটা করছি, সেটা একদম সিচুয়েশনাল কমেডি, বিগ ব্যাং থিউরির মতো। একেবারে ডায়ালগের ওপর মজা এবং প্রতিদিন একই সময় চলতে থাকবে। পৃথিবীর সব দেশে সিচুয়েশনাল কমেডিগুলো জনপ্রিয় হয়েছে। আশা করছি সে ধরনেরই কিছু একটা করতে পারবো।’
গাউসুল আলম শাওনের গল্প অবলম্বনে সিটকম পরিচালনা করবেন শরাফ আহমেদ জীবন আর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। পর্বগুলো লিখেছেন আদনান আদীব খান। এটি প্রচারিত হবে দীপ্ত টিভিতেÑএমনটাই জানিয়েছেন
গাউসুল আলম শাওন।
Add Comment