নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারি নিয়ন্ত্রণে জরুরি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও পরিবহন বন্ধ করেছে সরকার। লকডাউনে সীমিত পরিসরে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে খোলা রাখা হচ্ছে। এবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ও বিমা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হলো।
গতকাল এ বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দুই খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সীমিত পরিসরে ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রধান কার্যালয় ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বোচ্চ দুটি শাখা খোলা যাবে। এর মধ্যে একটি ঢাকায়, অপরটি ঢাকার বাইরে থাকতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গ্রাহকদের হিসাবে মেয়াদপূর্তিতে স্থায়ী আমানত নগদায়ন, ঋণের কিস্তি জমাদান প্রভৃতি জরুরি আর্থিক সেবাদানের জন্য এটি করা হচ্ছে। তবে এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজনীয় জনবল বিন্যাস ও উপস্থিতির বিষয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ বিবেচনায় সম্পন্ন করবে।
অপরদিকে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এক নির্দেশনায় উল্লেখ করে, সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বিমা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলো খোলা থাকবে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম, বিমা সুবিধা দেয়া ও বিমার মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ জনবল দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। মানতে হবে সব স্বাস্থ্যবিধি। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআরএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।