ক্রীড়া প্রতিবেদক : এ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে পুরোপুরি বদলে যাওয়া দল, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। বদলটা শুধু দলের পারফরম্যান্সেই নয়, দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসেও পড়ছে সেটির ছাপ। আর সে আত্মবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ হয় শরীরী ভাষার মধ্য দিয়ে। মুশফিকের দলের সবার শরীরী ভাষা সেটিই বলছে আপাতত। একের পর এক সদস্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। দলের প্রবীণের চেয়ে নবীনদের মধ্যে সেটি বেশি দেখা যাচ্ছে। এ নবীন টাইগাররাই যে দলের অক্সিজেন হিসেবে কাজ করে। আর তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে আছে মুশফিক, তামিম ও সাকিবদের মতো গুরুজনরা। সে জায়গা থেকে এবার স্মিথদের সামনে চ্যালেঞ্জ জানানোর দায়িত্বটা নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
গতকাল অনুশীলন-পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন দলের অন্যতম এ পেসার।
অস্ট্রেলিয়া দলে বোলিং অ্যাটাক বরাবরই পেসারনির্ভর। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও রাখা হয়েছে চার পেসারকে। তারা হলেনÑজস হ্যাজেলউড, জেমস প্যাটিনসন, প্যাট কামিন্স ও জ্যাকসন বার্ড। যাদের মধ্যে বার্ডই একমাত্র অভিজ্ঞতার বিচারে পিছিয়ে রয়েছে। বাকি তিনজনই পরীক্ষিত পারফরমার। এদের বোলিংয়ে ভর করে অনেক ম্যাচও জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই আসন্ন সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে এরাই। সামর্থ্যরে বিচারে তাদের তুলনায় তাসকিন-মুস্তাফিজ-শফিউলদের নিয়ে গড়া টাইগারদের পেস অ্যাটাক বেশ পিছিয়ে সেটা বলাই যায়। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের পেসাররা কি একই ভূমিকা রাখতে পারবে? আত্মবিশ্বাসী তাসকিন চ্যালেঞ্জটা জানালেন এভাবে, ‘ওদের পেসাররা অবশ্যই ভালো। তবে আমরাও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। আমাদের পেসাররা অনেক বড় ম্যাচ জিতিয়েছে। আমরা এই সিরিজেও ভালো কিছু করতে পারি। সেরকম বিশ্বাস আমাদের আছে।’
অজি পেসারদের ক্ষমতা আমলে নিয়েই এ তরুণ পেসার বলেন, ‘ওদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে। তবে আমরা আগের চেয়ে ভালো। অনুশীলন করতে করতে আমরা ভালো হয়েছি। রিভার্স সুইং বলেন বা সুইং, সব কিছু নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি আগে যা করতে পারিনি এখন আমরা তা পারব।’
স্পিননির্ভর দল করলে একাদশে জায়গা নাও পেতে পারেন তাসকিন। তবে তা নিয়ে ভাবছেন না তিনি। দলে সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়ার কথা বললেন, ‘আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করার। ওদের চেয়ে আমরা উইকেট ভালো বুঝি। আমাদের সব কিছু চেনা আছে। আশা করছি, সিরিজে আমরা ভালো কিছু করব।’
শুধু নিজেকেই নয়, কথা বলেছেন সতীর্থদের নিয়েও। এ সময় মুস্তাফিজুর রহমানের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতেই, তাকে বিশ্বের সেরা বোলার হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন তাসকিন আহমেদ। মুস্তাফিজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজের কাছে সবসময় আমাদের আশা বেশি থাকে। হয়তো শেষ কয়েকটা ম্যাচ ভালো হয়নি। বিশ্বের সেরা বোলারদেরও দুই-একটা ম্যাচ খারাপ হয়। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই, ও দৃঢ়ভাবে ফিরবে।’
এদিকে বাংলাদেশ দলের কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসবে, মুমিনুল হককে নিয়ে কথা হবে না তা কি হয়! স্কোয়াডে মুমিনুলের অন্তর্ভুক্তিতে সতীর্থদের প্রতিক্রিয়া কেমন তা জানতে চাওয়াই তাসকিন জানান, মুমিনুল দলে ফেরায় খুশি তিনি। তবে মোসাদ্দেক হোসেনের বাদ পড়াটা দুঃখজনক। ‘মুমিনুল ভাইয়ের ফিরে আসাটা আনন্দের ব্যাপার। তাকে দেখে ভালোই লেগেছে। তিনি তো পরিবারেরই অংশ। তবে মোসাদ্দেকের না থাকাটা দুঃখজনক। চোখের অসুস্থতার কারণে খেলতে পারছে না।’
Add Comment