শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে চলতি সপ্তাহে ধর্মঘটে যান জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) নার্সরা। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তারা ধর্মঘট শুরু করেন। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স-সংশ্লিষ্ট কর্মী ও চালকরা। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাজ্যের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের এ ধর্মঘট রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। এর প্রভাবে এখন রাস্তায় কম অ্যাম্বুলেন্স দেখা যাবে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বারক্লে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের প্রাধান্য দেবেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা ধর্মঘটে যাওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্যকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা যেন জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেয়ার কাজ করতে পারেন, সেজন্য তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সেনাসদস্যরা অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের মতো সেবা দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ব্রিটিশ ট্রেড ইউনিয়ন জিএমবি জানিয়েছে,২০১০ সালের তুলনায় স্বাস্থ্যসেবায় সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন ১৭ শতাংশ কমেছে। অথচ এ সময়ের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। জিএমবির ন্যাশনাল সেক্রেটারি রাখায়েল হ্যারিসন অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের ধর্মঘটের ব্যাপারে বলেছেন, সরকার যে কোনো মুহূর্তে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।
গত এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বেতন বাড়াতে আমরা সব করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের কথা শুনবে না এবং কথাও বলবে না। অ্যাম্বুলেন্স কর্মী ও জনগণও ভালো কিছুর প্রাপ্য। সরকারকে এখনই এ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামেন যুক্তরাজ্যের নার্সরা। তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী দ্য এনএইচএস কনফেডারেশন জানিয়েছে, এ ধর্মঘট রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, ধর্মঘটকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করা হবে না। এর বদলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হবে, যেন জীবনযাত্রার ব্যয় কমে আসে।